শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা বলেছেন, ‘এখন যে পরিমাণ পাসপোর্টের চাহিদা রয়েছে, আমরা সেটা পূরণ করতে পারছি না। সারা বিশ্বে আমাদের যে অ্যাম্বাসি রয়েছে তাদের একটাই দাবি, তারা সময়মতো পাসপোর্ট পাচ্ছে না বা কম পাচ্ছে। আমরা যেভাবে হিসেব করেছিলাম, পাসপোর্ট যারা তৈরি করে তারা সেভাবে দিতে পারেনি। সেজন্যই আমাদের একটা গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, কয়েক দফা ই-পাসপোর্ট চালুর ঘোষণা দেয়া হলেও তা চালু করা সম্ভব হয়নি। তাই ই-পাসপোর্ট চালু না হওয়া পর্যন্ত জনগণের চাহিদা মেটাতে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কিনছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। ৫৩ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব পাসপোর্ট সরবরাহ করবে ‘আইডি গ্লোবাল সলিউশন লিমিটেড (সাবেক ডি লা রু ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড)। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব দিয়েছিল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সেটি আজকের বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়।
অবশ্য এ ক্রয় প্রস্তাবটি গত ২৭ নভেম্বর ৬৭ শতাংশ বেশি দামে প্রস্তাব করা হয় বলে ফেরত দেয় কমিটি। কিন্তু আজকে আগের দাম ও আগের প্রতিষ্ঠানকেই সরবরাহ করার দায়িত্ব দেয়া হলো।
তিনি বলেন, আমরা দ্রুত চাহিদা মেটাতে পুরনো প্রতিষ্ঠান আইডি গ্লোবাল সলিউশন লিমিটেডের নিকট থেকে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কিনছি। এতে খরচ হবে ৫৩ কোটি ৪ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৭ টাকা। আমাদের পাসপোর্ট আরও প্রয়োজন। কিন্তু দ্রুত চাহিদা মেটাতে আমরা ২০ লাখ কিনছি। পাশাপাশি আমরা ই-পাসপোর্টে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছি।’
ই-পাসপোর্ট চালু হতে কতদিন সময় লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করবেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকে জানিয়েছে, ই-পাসপোর্ট চালু হতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। প্রথম দিকে দিনে ৫০০ ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে পরে এটি বাড়িয়ে দুই হাজার করে দেবে বলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হিসেব করেছিলাম- একনেকে মূল যে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছিল সেটি। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এটার ভেরিয়েশন (মূল্য বেড়েছে) হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিসহ এখন যেটা হয়েছে সেটা হিসেব করতে হবে। কিন্তু আমরা ২৭ নভেম্বরের মিটিংয়ে ভুল করে একনেকে অনুমোদিত মূল্য হিসেব করেছিলাম। দাম বেশির বিষয়টি তারা ভুল বুঝিয়েছিল।’